সারাদেশ

পিএমখালির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার

 ইকবাল চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধি

ইকবাল চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২৪ আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২৪

শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪) রাত ৩টার দিকে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ১০ পদাতিক ডিভিশনের ২ পদাতিক ব্রিগেড এর ৯ম ইষ্ট বেঙ্গল কর্তৃক পরিচালিত সেনাবাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি এর সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ বাহিনীর টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দুটি বাড়ি ঘেরাও করে। দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পরিচালিত এ অভিযানে  উক্ত টিমের বিচক্ষণতা এবং সময়োপযোগী  সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে উক্ত স্থান হতে কোন সন্ত্রাসী পালাতে ব্যর্থ হয়। অতঃপর বাড়ি দুটি তল্লাশি করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দেশি এবং বিদেশী অস্ত্র  ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, ৩ টি এক নলা বন্দুক, ২ টি এলজি, ২ টি ৯ এমএম পিস্তল, ৩ টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ৯ রাউন্ড পিস্তল এমো, ৩৯টি কার্তুজ, ৫ টি দা, ১ টি চেইন, ১ টি চাইনিজ কুড়াল ও ২ টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থল হতে অস্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত ৮ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদেরকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং পরবর্তীতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।ঘটনাস্থল হতে আটককৃত ৮ জন আসামিরা হল কলিম উল্লাহ (৩৪), মো: খোরশেদ আলম (৩৭), মো: হাসান শরীফ লাদেন (২০), মো: শাহিন (২৩), মো: মিজান (২০), আব্দুল মালেক (৪৮), আব্দুল হাই (২৪) এবং আব্দুল আজিজ (২৫) এছাড়াও জানা যায় উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে আটককৃত ব্যক্তিরা বিগত কয়েক বছর ধরে তাদের নিজ এবং আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যাসহ নাশকতামূলক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল।যৌথ বাহিনীর এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উক্ত অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য আসামীরা আলোচিত মোর্শেদ বলী হত্যা কাণ্ডের অভিযুক্ত আসামি।

প্রিয় পাঠক, আপনার স্বরচিত আর্টিলে আত্রাই বার্তায় প্রকাশ করতে নিবন্ধন করুণ । আপনার প্রতিভা তুলে ধরুন বাঙালিয়ানদের সাথে। যে কোন বিষয়ে জানতে ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুণ।


আর্টিকেল শেয়ার করুন

আরও খবর