সারাদেশ

রোহিঙ্গাদের সেল্টার দিতে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিক এর উপর হামলা।

রোহিঙ্গাদের সেল্টার দিতে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিক এর উপর হামলা।

 ইকবাল চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধি

ইকবাল চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর, ২৪ আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২৪

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা বাজার জাব্বারিয়া হোটেল এর সামনে হলদিয়া পালং উত্তর শাখা ছাত্রদল নেতা ফয়সাল এর নেতৃত্বে ৬/৭জন রোহিঙ্গা ও তাদেরস্বজনরা সংঘবদ্ধ হয়ে ইলিয়াস নামে এক সাংবাদিককে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত হয়ে উক্ত সাংবাদিক হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করতে গিয়ে জানা যায়, উক্ত সাংবাদিকের কাছে তথ্য ছিলো, উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের মৃত রাহমত আলী (রোহিঙ্গা) এর এক ছেলে এবং এক মেয়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে পাসপোর্ট তৈরি করে কয়েকবছর আগে থেকে বিদেশে অবস্থান করে। সম্প্রতি বিদেশে অবস্থানরত ঐ মেয়ে রিনা আক্তার, পিতা- ‍মৃত রাহমত আলী (রোহিঙ্গা), মাতা- গোলতাজ বেগম এর পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়াই দেশে এসে আবারও অবৈধ পন্থায় পাসপোর্ট নবায়ন করার চেষ্টা করছে। সে সংবাদ এর সত্যতা জানতে উক্ত সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করার জন্য আজ ১২ই নভেম্বর সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উক্ত এলাকায় যায়। অভিযোক্ত রোহিঙ্গা রিনা আক্তার এর সাথে সরাসরি কথা বলে ঐ সাংবাদিক পাসপোর্ট এর ছবি সংগ্রহ করে এবং আইডি কার্ড ও জন্মনিবন্ধন চাইলে তা প্রদান করতে পারেনি রিনা আক্তার। তথ্য সংগ্রহ করার পর উক্ত সাংবাদিক আগামীকাল পত্রিকায় প্রকাশের জন্য সংগ্রহ করে রাখে। তথ্য সংগ্রহ করে আসার পর থেকে বিদেশ থেকে উক্তে রোহিঙ্গা রিনা আক্তারের ভাই নুরুল আমিন, পিতা- রাহমত আলী (রোহিঙ্গা) সাংবাদিককে গুম করার খুন করার হুমকি দেয়। পরে একই দিন সন্ধার দিকে সাংবাদিক ইলিয়াস মরিচ্যা বাজারের হোটেল জব্বারিয়ায় চা পান করার সময় হঠাৎ ছাত্রদল নেতা ফয়লাস এর নেতেৃত্বে, রোহিঙ্গা আলমগীর প্রকাশ ছুট্টু, পিতা- লোকমান হাকিম (রোহিঙ্গা), মাতা- মনোয়ারা বেগম, নুরুল ইসলাম, পিতা- মৃত আনু মিয়া, শাহবুবুল আলম, পিতা- মৃত ফজলুল হক ড্রাইভার, সেলীম, পিতা- ছুরত আলমসহ ১০-১২ জন এসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বেধড়ক মারধর করে ছেড়ে দেয় হামলাকারিরা। এদিকে আহত সাংবাদিকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় স্থানীয় এক প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।অভিযুক্তরা আসলেই রোহিঙ্গা কিনা সেটি জানতে চাইলে হলদিয়ার ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরওয়ার কামাল বাদশা জানান, “তার বাবা এনআইডি কার্ড করেনি। সন্তানরা হয়তো জন্মনিবন্ধন করতেও পারে। নাহয় পাসপোর্ট কেমনে করলো তারা”।

প্রিয় পাঠক, আপনার স্বরচিত আর্টিলে আত্রাই বার্তায় প্রকাশ করতে নিবন্ধন করুণ । আপনার প্রতিভা তুলে ধরুন বাঙালিয়ানদের সাথে। যে কোন বিষয়ে জানতে ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুণ।


আর্টিকেল শেয়ার করুন

আরও খবর