ইয়াবা ব্যবসা, দালালী, চাঁদাবাজি ও দূর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে আমলে নিয়ে কক্সবাজারের বিতর্কিত সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদের সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দূর্নীতি দমন কমিশন "দুদক"।কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণের দালালদের বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি মামলার অনুসন্ধানেও সাংবাদিক তোফায়েল আহমদের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা উঠে এসেছিলো। সেই মামলার চার্জশিটেও আটকে যেতে পারেন এই বিতর্কিত সাংবাদিক। দূর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত ২ শাখার পরিচালক উত্তম কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কক্সবাজারের সাংবাদিক তোফায়েলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে তোফায়েল আহমেদ, পিতা পেটান আলী সওদাগর, সাং পশ্চিম মরিচ্যা, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন, থানা উখিয়া, জেলা কক্সবাজার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের এলও অফিসের ভূমি অধিক গ্রহনের দালালী, সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এই বিষয়ে ধ্রুত অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের বড় বড় ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল সাংবাদিক নামধারী তোফায়েল আহমেদ। দেশের শীর্ষ ইয়াবা ডন, গডফাদার ও ব্যবসায়ীদের সাথে তোফায়েল আহমেদের ইয়াবার সিন্ডিকেট রয়েছে। মেজর সিনহা হত্যাকারী ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদিপের সাথে তোফায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা সবাই জানতো। সেই সময় প্রদীপ সাংবাদিক তোফায়েল ছাড়া কারো সাথে কথা বলতেন না। অন্য সাংবাদিকও প্রদীপের বক্তব্য লাগলে তা তোফায়েল দিয়ে দিতো। কক্সবাজার শহরের আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী, অবৈধ সম্পদের অর্জনের দায়ে দুদক যার সকল সম্পদ যব্দ করেছে সেই শাহাজান আনসারী ভ্যান গার্ড ছিলো তোফায়েল। তোফায়েল বিশাল টাকার বিনিময়ে শাহাজাহান আনসারীকে শেল্টার দিতো। এছাড়াও কক্সবাজারের বিভিন্ন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাংবাদিক তোফায়েল নিউজ করার হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করতেন। তোফায়েল কক্সবাজারের ভূমি অধিগ্রহণের এলও অফিসের নাম্বার ওয়ান দালাল হিসাবে পরিচিত ছিলেন। কক্সবাজারের মেগা প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের দালালি করে তিনি প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ নামে বেনামে অর্জন করেছন। এই অভিযোগেও সাংবাদিক তোফায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে তাকে একাধিকবার দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। দুদক একটি সূত্র জানিয়েছে, ভুমি অধিগ্রহনের দালালিতে সাংবাদিক তোফায়েল এর জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে। দ্রুত এই মামলার চার্জশিট দেয়া হবে। এদিকে বিভিন্ন মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে সরকারি অনেক কর্মকর্তাকে বশে আনতেন তোফায়েল আহমেদ। যার কারনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে ভূমি অফিস, থানা ও বড় বড় তারকা হোটেল এর মালিকও তোফায়েল এর হাতে এখনো জিম্মি হয়ে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদের সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানেও সাংবাদিক তোফায়েল এর নাম উঠে এসেছে। কক্সবাজারের ইনানী ও সেন্টমার্টিনে বেনজিরের সকল জায়গা জমি তোফায়েল আহমেদ কিনে দিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। কক্সবাজার ও বান্দরবানের বেনজির এর সকল সম্পদ তোফায়েল দেখভাল করে আসছে। দুদক এর কক্সবাজার এর সমন্বিত জেলা কার্য্যালয় তোফায়েল আহমেদের অবৈধ সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানে শুরু করেছে বলে জানাগেছে।
প্রিয় পাঠক, আপনার স্বরচিত আর্টিলে আত্রাই বার্তায় প্রকাশ করতে নিবন্ধন করুণ । আপনার প্রতিভা তুলে ধরুন বাঙালিয়ানদের সাথে। যে কোন বিষয়ে জানতে ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুণ।