বহুরূপী
লাগাম দাও মুখে মিথ্যাবাদী!
না হলে মেরে দিব শিপটিফিন ঠুটে।
তুমি পিস্তল হামলায় বেঁচে যেতে পারো!
গ্রেনেড মাইনের হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারো!
আমার লাঙ্গলের আঘাত তোমায় চূর্ণবিচূর্ণ করে দিবো।
রক্ষা পাবে না বিশ্বাসঘাতক।
আমাকে মোহমায়ার শিকল পড়াতে এসো না।
আমাকে জিঞ্জিরে বেঁধে বন্ধীশালায় রাখতে পারবে না।
জানো আমি কে?
আমি উত্তপ্ত মরুর বুক চিরে উর্ধে উঠা জলধারা!
পৃথিবীর সকল কিছুর উর্ধে আমার উন্নত শির।
আমার ললাট নত হয় এই বসুন্ধরা ছাড়িয়ে,
আকাশ, চন্দ্র গ্রহ তারা সপ্ত আসমান ছাড়িয়ে,
আরশে আজীমে যার আধিপত্য।
আমাকে চিনতে এসো না।
আমাকে ছুঁতে এসো না।
আমি সপ্ত নরকের অগ্নি শিখা হস্তে নিয়ে
ঘুরি পাহাড় পর্বত জলাশয় হিমালয়।
নিমিষেই ধ্বংস করে দিব নভে বসতি মানুষ রুপী নরপশুদের।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শক্তিধর অস্ত্র "মায়া" থেকে আমি মুক্ত!
হে সুশীল সমাজের মানব মানবী!
আমাকে জানতে এসো না।
আমি বিশ্ব মানব কুলে ভিন্ন পাত্রে ভিন্ন রুপী!
আমি ধরনীর বুকে এক বিদ্রোহী বহুরূপী।
হে ভদ্র সমাজের ভদ্র নর্দমার কীটপতঙ্গরা!
তোমরা যে তরুণ-তরূণী, কৃষক- কৃষণী,কুমার তাঁতী
দেখো ত তো সবই আমার প্রত্বিছবি।
হে রাজা বাদশা'রা শুনে নাও...
তোমরা যে খাবার খেলে মৃত্যু অনিবার্য।
আমি সেই নর্দমার খাবার খেয়ে জীবন বাঁচাই।
বুঝতে পেরেছো, আমি কে?
আমাকে মারার অস্ত্র পৃথিবীতে এখন তৈরি হয়নি।
কামান বুলেট মিসাইল এসব তো আমার ছোট্ট বেলার খেলনা!
আমি ততক্ষণ পর্যন্ত জিন্দা থাকবো,
যতক্ষণ না আল্লাহ আমার মৃত্যুর বার্তা পাঠাবে।
আমাকে ধ্বংস করার পিছনে যতক্ষণ সময় নষ্ট করবে।
ততক্ষণে তোমরা শুধরে যাও।
তোমাদের শুধরে যাওয়ার এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
আমার রুপ দেখতে চাও....?
আমি জেলে শ্রমিক কুলি বৃদ্ধ ভবঘুরে।
আমি বিদ্রোহী কবিতার ছত্র,ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রত্বিছবি।
আমি সুইপার কেরাণী দারোয়ান, আমি বঙ্গবীর শেখ মুজিবের প্রত্বিছবি।
আমি মহসীন কালা পাহাড় শেরে বাংলা,
আমি ভাসানী,একাত্তরে নাম অজানা শত বীর।
হে ধর্ষক ঘুষখোর সন্ত্রাসীরা শুধরে যাও এখনও সময় আছে!
না হলে আমার থাবা থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।
আমি ক্ষুদিরাম, আমি মহা সমুদ্রের গর্জনের বুক চিরে চলা সাবমেরিন।
আমি সুরমার জলে পাল ছিঁড়া নাওয়ের মাঝি।
আমি টোকাই,হিটলার,আমি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী।
জল যেমন ভিন্ন পাত্রে ভিন্ন রুপী!
আমিও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ভিন্ন রুপী।
আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভিন্ন সময়ে ভিন্ন
রুপে এসে করি প্রতিবাদ।
আমি মৃত্যুর সুধা পান করে হাসি পুষ্পের হাসি।
আমি আরফিয়াসের বাঁশরি হয়ে জাগ্রত করি মানুষের ঘুমন্ত বিবেক।
আমি কবি'র কলম হয়ে লিখে যাওয়া 'বিদ্রোহী!
আমি এই বিশ্ব ভূমন্ডলে এক বিদ্রোহী বহুরূপী।
বিশ্ব মঞ্চে আসিয়াছে যত কালে কালে বিদ্রোহী বীর।
আমি তাদেরি প্রত্বিছবি বিদ্রোহী বহুরূপী বীর।
আমি বিদ্রোহী কাজী নজরুল, আমি সুকান্ত!
আমি অত্যাচারীর মসনদ ভেঙে তবেই হব ক্ষান্ত।
শত বার মরে শত বার জন্ম নিব ভিন্ন রুপে!
প্রিয় পাঠক, আপনার স্বরচিত আর্টিলে আত্রাই বার্তায় প্রকাশ করতে নিবন্ধন করুণ । আপনার প্রতিভা তুলে ধরুন বাঙালিয়ানদের সাথে। যে কোন বিষয়ে জানতে ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুণ।