রাজনীতি

মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ঐতিহ্য

মাসুদ রানা

মাসুদ রানা

প্রকাশ : ১৮ জুন, ২২ আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২৪

মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এই যে কথাগুলো ধারণ করেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অসহায় অবহেলিত, অসচ্ছল, দরিদ্র মানুষের পাশে সবসময় থেকেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী গ্রামে এক নিঃসন্তান দম্পতিকে বাড়ি করে দিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ডাকসু সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য।

নিঃসন্তান দম্পতি হলেন সুবর্ণখুলী গ্রামের মুন্সিপাড়ার তাইজুল ইসলাম ও মোছা. বেগম।

শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে দম্পতির নবনির্মিত বাড়িতে গিয়ে আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে খানসামা উপজেলার কৃতি সন্তান ঐতিহ্য ফিতা কেটে ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাড়িটি উদ্বোধন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাইজুল ইসলাম ও মোছা. বেগম ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবনে অনেক সম্পত্তির মালিক ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় তা বিক্রি করে বর্তমানে ৪০ দিনের কর্মসূচি ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সম্প্রতি ঝড়ে তাদের ঘুমানোর একমাত্র ঘরটি ভেঙ্গে যায়। এরপর তারা তাদের ভাতিজার বারান্দায় দিন কাটান। খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য বিভিন্ন জনের কাছে সহায়তা নিয়ে টিনের একটি বাড়ি করে দেন। যাতে তারা ঝড়-বৃষ্টিতেও একটু ভাল করে ঘুমাতে পারেন।

নিঃসন্তান দম্পতি তাইজুল ইসলাম ও মোছা. বেগম বলেন, ‘হামার কোন ছোয়া-ছোট (সন্তান) না থাকায় হামরা কখনো ভাবিনি যে হামার পাশে কেউ দাঁড়াবে। ঝড়ে হামার বাড়ি উড়ি যাবার পর হামরা খুব কষ্ট করি দিন পার করিনো। হামারে গ্রামের ছোয়া ভোটত ঢাকা থাকি বাড়িত আসিয়া কারবেঠে শুনিয়া টিন, কাঠ ও মিস্ত্রি নিয়া বাড়িত হাজির৷ হামাক এই বাড়িটা করি দেওয়াতে হামরা অনেকটা চিন্তামুক্ত। এখন আর বৃষ্টির পানি  হামার গাঁওত (গাঁয়ে) পরিবে না। শীতেতো কষ্ট হইবে না। হামরা স্বামী স্ত্রী বাকি জীবনটা ভালোভাবে থাকির পরিম। হামরা ঐতিহ্য ছোয়াটার জন্য দোয়া করিছি আল্লাহ্ যেন ওক অনেক বড় করে।’

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৭৫ বছরের ইতিহাসে যখনই, বাংলাদেশ সংকটে পড়েছে ঠিক তখনই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসেছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজটি যুগের পর যুগ ধরে করে আসছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি যে ঝড় হয়েছিল, সেই ঝড়ে অনেকের বাড়ি ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো মাথাগোঁজার ঠাঁই পাচ্ছিল না। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছিলাম যে একটি দম্পতির কোনো সন্তান না থাকায়, জীবনের শেষ বয়সে অন্যের বাড়ির বারান্দায় জীবনযাপন করছিলেন।তখন আমরা মনে করেছিলাম তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। সেই থেকে আমরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছি। তারা নতুন বাড়ি পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। আমরা এভাবেই মানুষের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।

প্রিয় পাঠক, আপনার স্বরচিত আর্টিলে আত্রাই বার্তায় প্রকাশ করতে নিবন্ধন করুণ । আপনার প্রতিভা তুলে ধরুন বাঙালিয়ানদের সাথে। যে কোন বিষয়ে জানতে ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুণ।


আর্টিকেল শেয়ার করুন

আরও খবর