সারাদেশ

দুর্ভিক্ষের কবল থেকে মুক্তির উপায়

দেলোয়ার হোসাইন মাহদী

দেলোয়ার হোসাইন মাহদী

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর, ২৩ আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২৪

দুর্ভিক্ষ কবলিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি "বাংলাদেশ"। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর অভাব অনটনে গোটা দেশবাসী অতিষ্ঠ। শুধু বাংলাদেশই নয় বহির্বিশ্বের অনেক দেশ এই মহা বিপদের স্বীকার। ফলে জনজীবন ছিন্নমূল হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এই নাজুক পরিস্থিতির কারণে ধরা পৃষ্ঠের প্রতিটি মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্বের প্রতিটি দুর্ভিক্ষ কবলিত জনপদ থেকে হাজার হাজার মানুষের আর্তনাদ আর হাহাকার শোনা যাচ্ছে। এই মহা সংকটময় মুহূর্তে আমাদের করণীয় কি হতে পারে আমরা কি তা কোনোদিন ভেবে দেখেছি? এবং কিভাবে আমরা এই মহা বিপদ থেকে নিষ্কৃতি লাভ করতে পারি, আমাদের কি একটু ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে ? আর কেনই-বা এ ধরনের যাতনাময় মুসিবতের সম্মুখীন হচ্ছি! 

প্রকৃতপক্ষে এই দুর্যোগ, দুর্বিপাক আমাদেরই খারাপ কৃতকর্মের ফল। মহান আল্লাহ তাআলা তার মহাগ্রন্থ আল কোরআনে এদিকে ইঙ্গিত করে আমাদেরকে সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য বলেন,  জলে ও স্থলে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয় তা মানুষের কৃতকর্মের কারণেই, তাদের কতক কৃতকর্মের শাস্তি আস্বাদন করানোর লক্ষ্যে। যাতে করে তারা সঠিক পথ অবলম্বন করে ফিরে আসে।  আর আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এরশাদ করেন, পৃথিবীতে কখনো কখনো দুর্ভিক্ষ ও মহামারী দেখা দেয় মানুষ অশ্লীল ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে। 

এই ভূপৃষ্ঠে যত মানুষ আছে সবাই পাপী,অপরাধী । একমাত্র নবী, রাসুলগণ নিষ্পাপ,মা'ছুম। আর সাহাবায়ে কেরাম ক্ষমাপ্রাপ্ত। আমাদের গুনাহের কারণে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিপদ আপদ আসে এটা শতভাগ সত্য। এতে সন্দেহের লেশমাত্র নেই। তবে আমাদের নিরাশ হওয়ারও কোনো কারণ নেই। কারণ সৃষ্টিকর্তা তার মহা গ্রন্থে অভয় দিয়ে বলেছেন, পর্বতসম পাপ করলেও তোমরা কোনোদিন আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা। তোমাদের বিধাতা আমি অত্যন্ত দয়ালু ও ক্ষমাশীল। 

অতএব,আমাদের একান্তভাবে জানা কর্তব্য যে, এই সংকট থেকে পরিত্রান পাওয়ার উপায় কি। 

সেগুলো নিম্নে ব্যক্ত করা হলো। যথাঃ

১/ তাকওয়ার অধিকারী হওয়া। এ গুনে ভূষিত হওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা বলেন,যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে তিনি তার সকল সমস্যার সমাধান করে দিবেন। এবং এমন স্থান থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। 

২/ তাওবা করে আল্লাহ তা'আলার প্রতি মনোনিবেশ করা। নবী সাঃ এ ব্যাপারে আমাদেরকে উৎসাহ দিতে গিয়ে এক হাদীসে বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা  সবাই পাপী, অপরাধী । তবে অপরাধীদের মাঝে সর্বোত্তম হলো ঐ ব্যক্তি যে অন্যায় কাজ করার পরে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে আল্লাহ তা'আলার কাছে তাওবা করে। আর রাসূল সাঃ অন্য হাদীসে ইরশাদ করেন, হে মানব মন্ডলী!  তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তাওবা করো , কেননা আমিও তার নিকট দৈনিক একশতবার তাওবা করি। 

৩/ অভাব,অনটন,দুঃখ ও দূর্দশার ভয়াবহ জগৎ  থেকে মুক্তি পাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা অর্থাৎ  ইস্তেগফার করা। হুজুর সাঃ তার পবিত্র বানীতে বলেন, যে ব্যক্তি সদা সর্বদা ইস্তেগফার করবে প্রভু তার সর্বপ্রকার সংকীর্ণতা দূর করে সচ্ছলতা দান করবেন। এবং সবধরনের দুশ্চিন্তা দূর করবেন। 

তাই আসুন, উপরোক্ত গুণাবলীর অধিকারী হওয়ার জন্য আমাদের সচেষ্ট হওয়ার মাধ্যমে দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তির উপায় অবলম্বন করি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন, আমীন।

প্রিয় পাঠক, আপনার স্বরচিত আর্টিলে আত্রাই বার্তায় প্রকাশ করতে নিবন্ধন করুণ । আপনার প্রতিভা তুলে ধরুন বাঙালিয়ানদের সাথে। যে কোন বিষয়ে জানতে ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুণ।


আর্টিকেল শেয়ার করুন

আরও খবর