অব্যাহতি
টি এইচ বকুল
সমনের আওতায় এতটা কাল,
নিজস্ব স্বাধীনতা গুলো সমাধিত করে।
তবে, সদ্য অঙ্কুরিত দুটি কচি পত্র,
নব উদ্দমে বেঁচে থাকার প্রত্যয় নিয়ে আসে।
দীর্ঘ রাতের তিমির ক্ষয়ে, যে তরুণ সূর্য আলোয় আলোকিত হয়েছে পথ,
সে পথের যাত্রী এখন আমিও।
আর কোন বাঁধা নয়,
নয় কোন পরাধীনতার শিকল।
অনুগামীতা ঢের হয়েছে। এবার চেতনার বীজ বপন করবো স্নায়ুর মৃত্তিকায়।
আমারও উদীত হবে রক্তিম প্রভাত,
আসবে মিষ্টি সোনালী বিকেল। সান্ধ্য হলে,
নীড়ে ফেরা পাখির মত, একবুক স্বপ্ন নিয়ে,
আমিও করবো কলতান।
একটা আজন্ম ভার আজ জলাঞ্জলি দিয়েছি। মেঘের গর্জনে বেঁধে দিয়েছি জীবনের নূপুর। গতানুগতিক নিয়মকে ছুটির ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছি ছুটি অনন্তকাল।
পশ্চাত্ পানে নারকীয় স্মারকচিহ্নরা থাক। দলিত হোক ওখানে স্মারকের পরে স্মারক। আমার চরণ যুগল, পেয়েছে যে সদ্য মুক্তির স্বাদ।
আমি পরিযায়ী হবো, সুশ্রী বসুমতীকে দেখবো এবার প্রাণভরে। যত অলব্ধ অপূর্ণ রয়েছিল, সব আজ সঞ্চিত হবে ক্রমান্নয়ে।
অভিলাষী পালকে মেলেছি যে, দুটি ডানা।
স্বনির্ভরে হয়েছি আজ আত্মবিশ্বাসী।
তাই'তো, আত্মাহুতিতে জেগেছে আজ নতুন প্রাণ। যে প্রাণে, বাজে বিপ্লবী আগামীর গান।
রচনাকালঃ ২৯-০৮-২০২২ ইং
প্রিয় পাঠক, আপনার স্বরচিত আর্টিলে আত্রাই বার্তায় প্রকাশ করতে নিবন্ধন করুণ । আপনার প্রতিভা তুলে ধরুন বাঙালিয়ানদের সাথে। যে কোন বিষয়ে জানতে ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুণ।